আপনি হয়ত গ্রামে থাকেন! আর আপনার হাতে রয়েছে কিছু টাকা রয়েছে! চাচ্ছেন কোন একটা ব্যবসা শুরু করতে আর এই ব্যবসাটি করতে চাচ্ছেন আপনার নিজের গ্রামে!
কেননা টাকাটা হাতে থাকলে হয়ত খরচ হয়ে যাবে। তাই আপনার হাতে থাকা টাকা টা একটা ব্যবসায় খরচ করে আরো একটু টাকা আয় করতে চাচ্ছেন।
তাহলে তো আপনি সঠিক চিন্তা ভাবনা করতেছেন। আজ কাল যেমন ব্যবসা বানিজ্য বাড়ছে আর কেউ চাইছে ও না পরের অধীনে চাকরি বা কাজ করতে।
অথবা এরকম অনেকেই রয়েছে যারা শহরে কাজ করেছেন কিন্তু এখন দেশে এসে স্থায়ী হতে চান। কিন্তু স্থায়ী হবেন যে কোন একটা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন।
আবার অনেকে আছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। এখন দেশে এসে যেকোন একটা ব্যবসা খুলে বসতে চান। কেন না বসে বসে খেলে টাকা কমবে বাড়বে না।
আর তাই সময় অনুযায়ী আপনার টাকা টা যদি আপনি সঠিক ব্যবসায় বিনিয়োগ অথবা ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে আপনার টাকা টার যেমন সঠিক ব্যবহার হলো, তেমনী আপনার মূল টাকা টা থেকে কিছু টাকা লাভ ও হলো। আর কখনোই ব্যাংকে টাকা ফেলে রাখা টা ঠিক না।
কেননা সে টাকাটা যদি আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় ব্যবহার করেন তাহলে আপনার প্রচুর পরিমাণে টাকা লাভ হবে।
তো যারা গ্রামে যেকোনো একটা ব্যবসা শুরু করার কথা তাদের জন্য আজকে আমি সবচেয়ে সেরা কয়েকটি বিজনেস আইডিয়ার কথা বলবো।
তো বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গ্রামে ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে সেরা পাচটি বিজনেস আইডিয়া নিয়ে।
পাঁচটি বিজনেস আইডিয়া মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা আপনি আপনার নিজ গ্রামে শুরু করতে পারবেন।
আর এই পাঁচটি ব্যবসার মধ্যে যেকোনো একটা করলে গ্রামে আপনার প্রচুর কাস্টমার পাবেন ও তেমনী ভালো পরিমানে বেচা ও কেনা হবে।
যার জন্যে আপনার অচল টাকা থেকে ভালো পরিমান লাভ হবে।
তাহলে আর দেরী না করে আপনার নিজ গ্রামে আজ থেকেই শুরু করে দিতে পারেন নিচে দেওয়া বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক পাঁচটি ব্যবসা থেকে একটা ব্যবসা।
ডিলার নিয়ে ব্যবসা
ডিলারের ব্যবসা এটি মূলত তাদের জন্য যাদের একটু বেশি পুঁজি রযেছে বা একটু যারা বেশি পুঁজি দিয়ে গ্রামে ব্যবসা করতে চান।
আপনি শহর থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্য কোম্পানির পন্য অথবা আসবাবপত্র কোম্পানির ডিলার নিয়ে গ্রামে একটি দোকান দিতে পারেন।
কেননা শহরের পণ্যগুলো গ্রামের মানুষ সব সময় কিনতে আগ্রহী থাকে। আর দেশে বেশি পরিমান কোম্পানি শহরে হওয়ায় গ্রামের মানুষ উন্নত পন্য গুলে গ্রামে পায় না।
আর আপনি যদি ডিলারের মাধ্যমে এসব খাদ্য দ্রব্য বা আসবাব পত্রের পন্য বিভিন্ন রকমের গুলো গ্রামে বিক্রি করেন। তাহলে আপনার প্রচুর পরিমানে বিক্রি যেমন তেমনী এই ব্যবসায় প্রচুর লাভ ও হবে।
তবে আমার মতামত হলো ডিলারের ব্যবসায় আপনি যতটা পারেন খাদ্য দ্রব্যের বিভিন্ন পন্য বিক্রি করবেন। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় খাদ্য দ্রব্য কোম্পানি রয়েছে।
যেমন প্রান কোম্পানী, আবুল খায়ের কোম্পানী, বসুন্ধরা, যমুনা ইত্যাদি। তারা মূলত গ্রামে গ্রামে ডিলার নিয়োগ দিয়ে থাকে তাদের পন্য বিক্রি করার জন্যে।
আপনার বাজেট একটু বেশি হলে আপনার গ্রামে ডিলার নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। ডিলার নিতে প্রায় ৫,০০,০০০ টাকা থেকে ১০,০০,০০০ টাকা পযন্ত প্রয়োজন হবে।
তবে শুরুতে একটু টাকা বেশি লাগলে পরবর্তীতে আর তেমন টাকার প্রয়োজন পড়বে না। পরবর্তীতে আপনার হাতে প্রচুর টাকা আসবে।
তখন দেখবেন রাতারাতি আপনার ১০ লাখ টাকার ব্যবসা ২০ লাখে পরিনত হয়ে গেছে। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ডিলার নিয়ে ব্যবসা করা।
ডিলার নিয়ে গ্রামে ব্যবসাটা থেকে খুব দ্রত বা বেশি পরিমানে লাভ করা যায়।
মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা
যারা একটু অলস (কষ্টের কাজ করতে আগ্রহী না) টাইপের কিন্তু হাতে কিছু টাকা রয়েছে, অথবা মাত্র বিদেশ থেকে এসেছেন, হাতে থাকা টাকা দিয়ে যেকোন একটা ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন।
তাদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ও আরামের একটি ব্যবসা হল মুদির দোকানের ব্যবসা।
গ্রামে মুদির দোকানের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যেখানে কোন কিছু কিনতে গ্রামের মানুষ হয়ে যায় অথবা আরো কিছু জিনিস জন্য শহরে গিয়ে থাকে।
আর আপনি যদি এই পণ্যগুলোর গ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পারেন তাহলে হয়তো আপনার প্রচুর পরিমাণে ইনকাম হবে।
যাদের মূলধন বা পুঁজি ৫০,০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে তারা খুব সহজেই মুদির দোকানের এই ব্যবসাটি করতে পারবেন।
বলে রাখা ভাল মুদি দোকানের ব্যবসা করে রাখার জন্য কোন রকমের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে না। মুদির দোকানের ব্যবসা খুবই সহজ একটা ব্যবসা।
প্রথম প্রথম আপনাকে কতগুলো পণ্য কিনে তারপর শুধু বসে বসে সেগুলো বিক্রি করতে হবে এই হলো মুদির দোকানে কাজ।
হোটেল বা রেস্তোরাঁর ব্যবসা
গ্রামে সব সময়ে সিংগারা,পুরি, চপ, পরাটা-ভাজি, পেঁয়াজু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। এইসব খাবার গুলো গ্রামকর মানুষেরা প্রচুর পরিমানে খেয়ে থাকে।
আর এসব খাবার গুলো গ্রামের মানুষেরা বেশিরভাগ সময়ে হাতের নাগালে পায় না। কিন্তু এসব ভাজা পোড়া খাবার গুলো তারা কিনতে পারে কম।
কেননা এসব খাবার গুলো বাজার বা হাট অথবা মফস্বল শহরে বেশি পাওয়া যায়।
আর আপনি যদি আপনার গ্রামে একটি পরাটা, সিংগারা, পুরি, পেঁয়াজ অথবাযেকোন ভাজা খাবার বা হোটেল দিতে পারেন।
তাহলে আপনি প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন আমি নিশ্চিত বলতে পারি। শুধু সঠিক বিজনেস পলিসি অনুযায়ী ব্যবসা চালিয়ে গেলেই হবে।
রেস্তোরা বা হোটেলের ব্যবসা করার জন্য আপনার বাজেট ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে হলে সবচেয়ে ভালো চলবে।
অবশ্যই হোটেল ব্যবসা করার আগে একটু হোটেলের মেনু বা তৈরীর আইডিয়া নেওয়া দরকার। এছাড়াও আপনার কর্মচারী প্রয়োজন হতে পারে।
যার কারণে কর্মচারীদের পিছনে আপনার একটা ব্যয় হবে। তবে আপনি যেমন ব্যয় করবেন বা পুঁজি দিবেন তেমনি আপনার আয় হবে।
তাই চিন্তার কোন কারণ নেই। হোটেল ব্যবসা থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমানে আয় করা সম্ভব। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো বেচা কেনা হবে।
১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় আপনার মূলধন প্রায় ৫ হাজার টাকা আর বাকি ১০ হাজার টাকা আপনার লাভ হবে।
আর বাকি ১০ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা বিভিন্ন কর্মচারী ও অনন্য খরচ হলে আপনার থাকে ৫ হাজার টাকা। আর এক মাসে আপনার আয় হবে প্রায় ৫,০০০×৩০=১,৫০,০০০ টাকা।
শুধুমাত্র এই হোটেল ব্যবসা করে আপনি আপনার মূলধন একটি প্রায় এক থেকে দুই মাসের ভিতরে উঠিয়ে ফেলতে পারবেন।
আর আপনার প্রতিমাসে প্রায় ১ লাখ টাকা পযন্ত আয় করতে পারবেন।
কম্পিউটার দিয়ে ব্যবসা
আপনি যদি ইয়ং বয়সের হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কম্পিউটার একটি দোকান দিয়ে বসতে পারেন আপনার নিজ গ্রামে।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ফোন এক্সেসরিজ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ইত্যাদি পণ্যগুলো আপনি গ্রামে একটি দোকান দিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
অথবা চাইলে মেমোরি লোড করেও আয় করতে পারেন।এছাঠাও নানা রকমের উপায়ে কম্পিউটার দোকান দিয়ে আয় করতে পারেন।
কম্পিউটার দোকান দিয়ে শহরর থেকে গ্রামে প্রচুর পরিমানে আয় করা সম্ভব। যদি আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই কম্পিউটারের দোকানের ব্যবসাটি করতে পারেন।
উদাহরন হিসেবে ধরা যাক, আপনি যদি কম্পিউটার মেমোরি লোড করে তাহলে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত শুধু মেমোরী লোত করে আয় করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ইয়ারফোন হেডফোন চার্জার এগুলো বিক্রি করেন
তাহলে প্রতিটা পন্য থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ৫০ টাকার মত আয় হবে।
আর প্রতিদিন যদি আপনি ১০ টা মেমোরি লোড দেন ৫০ টাকা করে তাহলে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা
ফ্লেক্সিলোড করে প্রায় প্রতি দিন ৫০০ টাকা
বিভিন্ন ধরনের পন্য বিক্রি করে ১,০০০ টাকা
মোট প্রতিদিন প্রায় ২,০০০ টাকা আয়।
মাসে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা খুব সহজেই নিজ গ্রামে আয় করা যায়। আর বর্তমানে কম্পিউটারের কিন্তু ভালো পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।
গাড়ী ভাড়া দিয়ে ব্যবসা
আপনার হাতে যদি প্রচুর পরিমাণে টাকা থাকে তাহলে সেই টাকা দিয়ে কিছু গাড়ি কিনবেন। তারপরে সেই গাড়িগুলো ভাড়া দিন আর ইনকাম করুন।
এছাড়াও গ্রামে গাড়ির যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি গাড়ি চালানোর লোকের অভাব নেই।
আর আপনি যদি গাড়ি কিনে ভাড়া দেন তাহলে আপনার প্রচুর পরিমানে আয় হবে। আপনি ভ্যান অথবা রিক্সা অথবা সিএনজি কিনে দিতে পারেন।
কেননা গ্রামে কিন্তু এই সবে চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গাড়ী ভাড়ার ব্যবসায় আপনি সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা থেকে যত উপরে উঠা যায় তত টাকা ইনভেস্ট করতে পারবেন।
আয়ের একটা উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি প্রতিমাসে প্রায় ১ থেকে ২ লাখ আয় করতে পারবেন।
গ্রামে ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে সেরা কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আজকের মত আমার পোস্ট এই পর্যন্তই ছিল।
গ্রামে অথবা যেকোনো ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই নিজ নিজ দায়িত্বে ব্যবসা করবেন।
শেষকথা হলো আপনি যেই ব্যবসাটিই করুন না কেন আগে ভেবে চিন্তে তারপর নিজ দায়িত্বে ব্যবসাটি শুরু করবেন। নিজে যেকোনো ব্যবসা না বুঝে করতে যাবেন না।
এই নিয়ে আমদের একটি আর্টিকেল রয়েছে। চাইলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবেন কিভাবে ব্যবসা করে প্রচুর পরিমাণে লাভ করা যায়।
গ্রাম থেকে বিশ্বজুড়ে SDN এর মাধ্যমে আপনিও হতে পারবেন Global Entrepreneur.
SDN ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ২০১৫ সাল থেকে। সবার জন্যে যেমন রয়েছে কাজ করার সুযোগ তেমনি রয়েছে কাজের স্বাধীনতাও।
SDN বিজনেস কেন করবেন ?
☞ বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত কোম্পানি। রেজিঃ নং : সি-১৮৩২৩১
আজই SDN যোগদান করে হয়ে যান ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিষ্ঠানের গর্বিত রিসেলার।
সেমিনারে সরাসরি বা জুম অথবা গুগল মিটে অংশগ্রহণ করে আরো বিস্তরিত জেনে নিন!
For You, With You, For Ever….
“ SDN ”-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন। তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।
সমাহার ডট নেট লিমিটেড
![]()
A Holistic Business Platforms ![]()
![]()
⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০
মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ support@samahar.net , ওয়েবসাইট : www.samahar.net
আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…


0 Comments