গ্রামে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি ব্যবসার নিয়ে মূলত আজকের এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করা হবে। শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে, যারা গ্রামে থাকে তাদের জন্য এই ব্যবসা গুলো। কারন এসব ব্যবসা গুলো গ্রামে সবচেয়ে ভালোভাবে করা যাবে।
আমাদের গ্রামে বর্তমানে অনেক বেশী মানুষ বেকার বসে থাকে। যারা গ্রামে বেকার থাকে তারা চাইলেই কিন্তু অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেগুলো করে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারে। তাহলে কিন্তু আর তাদের চাকরির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরা ব্যবসা করার যে আইডিয়াটা সেটা না থাকার কারণে ব্যবসার করা হয়ে ওঠে না।
যদি আপনি গ্রামে থাকেন আর যদি ভাবেন যে, একটি ব্যবসা শুরু করবেন! কিন্তু জানেন না যে, কি ব্যবসাটা শুরু করবেন? অথবা জানেন না যে, গ্রামে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? তাহলে এই ব্লগ পোষ্ট থেকে চলুন কয়েকটি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে বলা যাক। যেই ব্যবসা গুলো গ্রামে করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবেন
কবুতরের ব্যবসা
আমাদের গ্রামের অনেক তরুণদেরই দেখা যায় কবুতর পালন করে। বলা যায় যে, বেশিরভাগ তরুনেরা খুব শখ করে কবুতর পালন করে থাকে। তাদের সব এরকম অনেকেই আছে যারা কবুতর পালন করতে খুবই ভালোবাসে।
বর্তমানে এমন অনেক তরুণ উদোক্তা রয়েছে যারা কবুতর পালন করার মাধ্যমে প্রতিনিয়তই লাভবান হচ্ছে আপনি যদি গুগল অথবা ইউটিউব ঘাঁটাঘাটি করেন তাহলে হয়তো এমন অনেকেই পাবেন যারা কবুতর পালন করার মাধ্যমে সংসার ভালোভাবে চালিয়ে নিতে পারছে।
আর এমন অনেকে আছে যারা শুরুতে কয়েকটা কবুতর দিয়ে ব্যবসা শুরু করে এখন সেটাকে বিশাল খামারের রূপ দিয়েছে। এতে করে তাদের এখন অনেক পরিমাণ লাভ হচ্ছে।
কবুতরের ব্যবসা কেন করবেন?
কবুতরের ব্যবসা কেন করবেন? এটা খুব সাধারণ প্রশ্ন মনে হলেও এই প্রশ্নের ভেতর লুকিয়ে আছে অনেক তথ্য। কবুতরের ব্যবসা করতে কিন্তু খুব কম পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন হয়। আপনি মাত্র ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে যত টাকা চান তত টাকা দিয়ে এই কবুতরের ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। আর এই কারণেই আপনার মূলধন বা পুঁজি কম থাকলে অবশ্যই কবুতরের ব্যবসাটি করবেন।
তাছাড়া গ্রামে খুব সহজে এই কবুতর পালন করা যায়। এক্ষেত্রে কবুতরকে খুব কম খাবার দিলেও সমস্যা হয় না। কারন প্রয়োজন অনুযায়ী কবুতর ক্ষেত খামারে গিয়ে নিজেরাই খাবার সংগ্রহ করে খেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার অনেক টাকাও সেভ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হল বেকার বসে না থেকে কবুতর পালন করেও বর্তমানে টাকা আয় করা যায়।
কবুতর পালনে কেমন লাভ?
কিন্তু যদি আপনি চান তাহলে এই কবুতরকে কিন্তু ব্যবসায় রূপ দিতে পারেন। সেটা কিভাবে দিবেন তার একটি ধারণা ছোট করে জেনে নেয়া যাক;
ধরা যাক আপনি ১০ জোরা কবুতর কিনলেন ৫০০/- টাকা প্রতি জোড়া।
তাহলে ৫০০×১০= ৫,০০০/- টাকা
যদি আপনি ১০ জোরা কবুতর পালন করেন। তাহলে দেখা যাবে প্রতি বছর প্রায় ৫০ জোরা কবুতরের বাচ্চা দিবে।
এগুলো বড় হবে ১ বছরে।
৫০×৫০০= ৫০,০০০/- টাকা
তাহলে প্রতি বছর আপনি গ্রামে বসে ৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করছেন।
এছাড়া আপনি চাইলে পাইকারি দরে বিভিন্ন কবুতর পালনকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্রয় করে সেগুলো বেশি দামে খুচরা বিক্রি করতে পারেন। এটা কিন্তু খুব কমই ঝামেলার ব্যবসা। এই ব্যবসাটি করলে তারাই বেশি লাভবান হবে, যারা কবুতর বর্তমানে পালন করছে অথবা কবুতর পালনে যাদের আগ্রহ রয়েছে।
এছাড়া আপনার যদি কবুতর পালনে আগ্রহ কম থাকে তাহলে সবচাইতে বেশি ভাল হবে পাইকারি দরে কবুতর কিনে সেগুলো খুচরা বিক্রি করা। এ ব্যবসাটি করা একেবারে সহজ। ধরুন আপনি ১০,০০০ টাকা দিয়ে ২৫ জোড়া কবুতর কিনেছেন।
কারন,
প্রতি জোরা কবুতরের দাম ৪০০/- টাকা।
২৫ জোরার দাম হলো (২৫×৪০০= ১০,০০০/- টাকা
যেহেতু আপনি প্রতি জোড়া কবুতর পাইকারী ধরে ৪০০/- টাকা করে কিনেছেন। তাই বিক্রির সময় অবশ্যই ৫০০/- টাকা থেকে ৬০০/- টাকায় বিক্রি করবেন
ধরাযাক, আপনি ৫০০/- টাকায় বিক্রি করবেন একজোড়া কবুতর।
তাহলে ২০ জোড়া কবুতর বিক্রি করবেন, ২৫×৫০০=১২,২৫০/- টাকা।
এখানে আপনি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ২ হাজার ২৫০/- টাকা লাভ করলেন।
এখানে কিন্তু কবুতর পালন করার চাইতে কবুতরের পাইকারি দরে ক্রয় করে খুচরা বিক্রয় লাভ বেশি। আর সবচাইতে মজার বিষয় হলো, কবুতরের ব্যবসায় মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই হয়। যারা ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, কিন্তু ১০০০০ টাকার ব্যবসা সম্পর্কে কোন আইডিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না। তারা চাইলে এই কবুতরের পাইকারি ব্যবসা অথবা কবুতর পালনের ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
কবুতরের ব্যবসা সাবধান
কবুতরের এই ব্যবসাটি গ্রামে সবচাইতে বেশি এবং উপযোগী। এছাড়াও অনেকে চাইলে গ্রাম থেকে কম দামে কবুতর ক্রয় করে সেগুলো শহরে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। যদিও এটা পুরোপুরি আপনাদের উপর নির্ভর করবে। আপনি কিভাবে ক্রয় করে সেগুলো আবার কিভাবে বিক্রি করবেন আর এটা ঠিক করার জন্য অবশ্যই একটা পরিকল্পনা করে নিবেন।
এর মানে হলো যে কোন ব্যবসার আগেই একটি পরিকল্পনা করে নেওয়া উচিত। পরিকল্পনাটি হতে পারে আপনি কিসের ব্যবসা করছেন, আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করছেন, কত টাকা লাভ হবে, পণ্য কোথায় থেকে কিনবেন, পণ্য কোথায় বিক্রি করবেন ইত্যাদি। মূলত এসব আগে থেকেই ঠিক করে রাখা কে পরিকল্পনা বলা হয়। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে যে কোন ব্যবসায় খুব দ্রুতই লাভবান হওয়া যায়।
আমার মনে হয় আপনাদের কে কবুতর ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছুই ভালোভাবে বুঝাতে পেরেছি। যারা গ্রামে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া খুঁজেন, কিন্তু জানেন না, তারা চাইলে এই কবুতরের ব্যবসাটি গ্রামে শুরু করতে পারেন। বর্তমানে কবুতরের ব্যবসাটি কিন্তু খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। আর তাই আর দেরি না করে আজই শুরু করে দিতে পারেন কবুতর পালনের ব্যবসা অথবা কবুতরের পাইকারি ব্যবসা।
গ্রাম থেকে বিশ্বজুড়ে SDN এর মাধ্যমে আপনিও হতে পারবেন Global Entrepreneur.
SDN ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ২০১৫ সাল থেকে। সবার জন্যে যেমন রয়েছে কাজ করার সুযোগ তেমনি রয়েছে কাজের স্বাধীনতাও।
SDN বিজনেস কেন করবেন ?
☞ বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত কোম্পানি। রেজিঃ নং : সি-১৮৩২৩১
আজই SDN যোগদান করে হয়ে যান ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিষ্ঠানের গর্বিত রিসেলার।
সেমিনারে সরাসরি বা জুম অথবা গুগল মিটে অংশগ্রহণ করে আরো বিস্তরিত জেনে নিন!
For You, With You, For Ever….
“ SDN ”-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন। তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।
সমাহার ডট নেট লিমিটেড
![]()
A Holistic Business Platforms ![]()
![]()
⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০
মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ support@samahar.net , ওয়েবসাইট : www.samahar.net
আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…


0 Comments