বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসা হল লবণের ব্যবসা। যদিকেউ লবণের ব্যবসা করতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আপনি জানতে পারবেন লবণের ব্যবসা কি, লবনের ব্যবসা কিভাবে করবেন এবং সর্বশেষ জানতে পারবেন লবণের ব্যবসা করে সর্বনিম্ন কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে।
লবন কী?
লবন অথবা নুন হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড দিয়ে তৈরী এক প্রকার খনিজ পদার্থ। যা সমুদ্রের নোনা পানি সূর্যের সাহায্যে অথবা আগুনের তাপে বাষ্পীভূত করে লবন তৈরী করা হয়। এছাড়াও লবন অথবা নুনকে প্রাকৃতিক স্ফটিক হ্যালাইড নামেও ডাকা হয়ে থাকে। সাগরের পানি লবনাক্ত হওয়ার কারন হলো সমুদ্রের প্রতি ১লিটার পানিতে প্রায় ৩৫ গ্রাম কঠিন পদার্থের মধ্যে. ৫% হলো লবন।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সমুদ্রের লোনা পানি তাপ দিয়ে পানি বাষ্পীভুত করে নুন উৎপাদন করা হয়। এক গবেষনায় জানা যায়, ২০১৯ সালের সারাবিশ্বে প্রায় ২০০ মিলিয়ন টন লবন উৎপাদন করা হয়েছে। তবে সমুদ্রের লোনা পানি ছাড়াও লবণের কিছু পাথরের খনি রয়েছে যেখান থেকে প্রচুর লবণ আহরণ করা হয়।
লবনের ব্যবসা কী?
আমাদের দৈনন্দ জীবনের সমস্ত খাদ্য সামগ্রী সঙ্গে লবন/নুন মিশে রয়েছে। যে কোন খাদ্য তৈরীতে লবণের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। লবণ ছাড়া যেন সব খাবারই অসস্বাদু লাগে। আর এই লবণ খাওয়াকে কেন্দ্র করে মূলত গড়ে উঠেছে লবণের ব্যবসা।
বিভিন্ন লবণ আহরণকারী কৃষকেরা বা লবণ চাষীরা সমুদ্র থেকে লবণ আহরণ করে সেগুলো বিভিন্ন পাইকারী খুচরা বাজারে বিক্রি করে। সেখান থেকে পাইকারি বা খুচরা ক্রয় করে সবার কাছ পৌঁছে দেয় লবন ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের লবণের বাজার বিশাল। আর আপনি যদি চান লবণের ব্যবসা করবেন তাহলে এই সেক্টরে খুবই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লবনের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?
বর্তমানে খুব সহজেই অল্প টাকা দিয়েই লবনের ব্যবসা শুরু করা যায়। যদি আপনি লবনের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে এর জন্য অনেক বড় পুঁজি প্রয়োজন হবে না। মূল কথা হলো আপনি কয়েক ভাবে লবনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
যদি আপনি লবন চাষ করতে চান আর আপনার বাড়ি যদি হয় সমুদ্র এলাকায় তাহলে সেখানে লবন চাষ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
আর যদি আপনি চান সরাসরি লবন চাষীদের কাছ থেকে লবণ কিনে কোম্পানি/প্রতিষ্টান এর কাছে বিক্রি করবেন তাহলে এই লবনের পাইকারী ব্যবসাটি পারবেন।
তবে সবচাইতে বেশি লাভজনক হলো সরাসরি লবণ চাষীদের কাছ থেকে ক্রয় করে সেগুলো প্যাকেটজাত বা মোড়কজাত করে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এই ব্যবসাটি বর্তমানে সবচাইতে বেশি লাভজনক।
যদিও এভাবে লবনের ব্যবসা করতে একটু বেশি মূলধনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে অত বড় মূলধনের প্রয়োজন নেই যতটা আপনি ভাবছেন। বর্তমানে আপনি চাইলে মাত্র ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে এই লবণের ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন
এখন হয়ত আপনি বলতে পারেন যে ৫-১০ লক্ষ টাকা খরচ করে লবনের ব্যবসা করতে এই লবণগুলো আপনি কোথায় থেকে সংগ্রহ করবেন!
বাংলাদেশে সবচাইতে বড় লবণের বাজার হলো চট্টগ্রামের সাতটি জেলা। বর্তমানে আমাদের দেশের চাহিদা অনুযায়ী সবচেয়ে লবণ উৎপাদন করা হয় চট্টগ্রামের চকরিয়া, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, সদর, রামু এই সাতটি জেলায়। আর এই জেলাগুলোতে প্রায় ১২টির মতো লবণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
আপনি যদি চান লবনের ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে চকরিয়া, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, সদর, রামু থেকে প্রচুর পরিমাণে লবন সরাসরি নুন চাষীদের কাছে থেকে ক্রয় করে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও সাতক্ষীরা ও খুলনায় কিছু লবনের পাইকারি বাজার আছে। সেখান থেকেও লবন ক্রয় করতে পারবেন।
চকরিয়া, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, সদর, রামু জায়গায় অনেক পাইকারী লবনের বাজার রয়েছে। এইসব জায়গায় পাইকারি ধরে আয়রন যুক্ত লবণ বিক্রি করা হয়। যেখান থেকে পাইকারী দরে প্রতি কেজি লবন ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায় কেনা যায়। এরপরে এই লবন ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা এমনি কিছু কিছু কোম্পানি/প্রতিষ্ঠান ৩৫-৪০ টাকায় প্রতি কেজি লবন বিক্রি করে থাকে।
লবনের ব্যবসা করার আগে যা ভেবে নেওয়া জুরুরি
বর্তমানে আমাদের দেশে আয়োডিন যুক্ত লবণ তৈরি করার মাধ্যমে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
আয়োডিনযুক্ত লবণ প্রকল্প (সিআইডিডি) আয়োডিন যুক্ত লবণ উৎপাদন করার তদারকি করে থাকে। এতে করে আয়রন যুক্ত লবণ ছাড়া অন্যান্য ভেজালযুক্ত লবণ উৎপাদন বিপদের করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
বর্তমানে আমাদের দেশে শুরুর দিকে ২৬৭ টি আয়রনযুক্ত লবণ তৈরি মেশিন ছিল। এখন তা প্রায় তিনশটির মতো আয়োডিনযুক্ত লবণ উৎপাদন করার কারখানা রয়েছে। এইসব কারখানায় আয়রনযুক্ত লবণ উৎপাদন করা হয়। যদি আপনারা লবনের ব্যবসা করেন অবশ্যই আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবসা করবেন। কারণ আমাদের বাংলাদেশের প্রায় ৮৪% মানুষ এই লবণ খাদ্য দ্রব্যে ব্যবহার করে নিজেদের আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
আপনি যদি লবনের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন তাহলে যেকোনো লবন ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ভালে ভাবে জেনে শুনে লবনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনারা প্র্যাকটিক্যালি ভাবে লবণের ব্যবসা সম্পর্কে সুষ্ঠু এবং সুন্দর ধারণা পাবেন। যাতে করে পরবর্তী সময়ে লবনের ব্যবসা করে খুব সহজে লাভবান হতে পারে।
আপনার কোন বন্ধু-বান্ধব যদি লবনের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবে, তাহলে তার সাথে আমাদের এই পোষ্টটি শেয়ার করতে পারেন। এতে করে হয়তো সেই লবনের ব্যবসা সম্পর্কে অনেক তথ্যই ভালোভাবে জানতে পারবে।
গ্রাম থেকে বিশ্বজুড়ে SDN এর মাধ্যমে আপনিও হতে পারবেন Global Entrepreneur.
SDN ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ২০১৫ সাল থেকে। সবার জন্যে যেমন রয়েছে কাজ করার সুযোগ তেমনি রয়েছে কাজের স্বাধীনতাও।
SDN বিজনেস কেন করবেন ?
☞ বাংলাদেশ সরকার কতৃক অনুমোদিত কোম্পানি। রেজিঃ নং : সি-১৮৩২৩১
আজই SDN যোগদান করে হয়ে যান ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রতিষ্ঠানের গর্বিত রিসেলার।
সেমিনারে সরাসরি বা জুম অথবা গুগল মিটে অংশগ্রহণ করে আরো বিস্তরিত জেনে নিন!
For You, With You, For Ever….
“ SDN ”-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন। তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।
সমাহার ডট নেট লিমিটেড
![]()
A Holistic Business Platforms ![]()
![]()
⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০
মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ support@samahar.net , ওয়েবসাইট : www.samahar.net
আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…


0 Comments